Pages

Monday, December 16, 2013

সুস্বাদু সব মিষ্টির রেসিপি

সুস্বাদু সব মিষ্টির রেসিপি


ক্ষীরকদম


উপকরণ : দুধ ১ লিটার, খোয়া ক্ষীর ৫০০ গ্রাম, চিনি ২ কাপ, গুঁড়ো চিনি আন্দাজ মতো, গুঁড়ো দুধ আন্দাজ মতো, লালা ফুড কালার সামান্য, ভিনিগার ২ টেবল-চামচ।

রসগোল্লা বানানোর প্রণালি : দুধ গরম করে ফুটে উঠলে তাতে এক থেকে দু’টেবল-চামচ ভিনিগার দিন দুধ কাটিয়ে ছানা তৈরি করে নিন। এ বার ওই ছানা একটা মসলিন অথবা সুতির কাপড়ে ঢেলে জলে ধুয়ে নিতে হবে যাতে ভিনিগারের গন্ধ আর টক ভাব না থাকে। এর পর পাতলা কাপড়ে বেঁধে টাঙ্গিয়ে রাখুন যাতে ছানা থেকে ভালো করে জল ঝরে যায়। এ বার আধা-চামচ ফুড কালার মিশিয়ে ছানা মসৃণ করে মাখতে হবে। মাখা ছানা দিয়ে এ বার ছোট ছোট বল বানিয়ে নিন। একটা ঢাকা দেয়া পাত্রে এক কাপ চিনি আর তিন কাপ জল দিয়ে পাতলা করে চিনির রস বানিয়ে নিন। ছানার বলগুলো ফুটন্ত রসে ছেড়ে মাঝারি তাপমাত্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট ঢাকা দিয়ে রান্না করলে রসগোল্লা তৈরি হয়ে যাবে।

ক্ষীরকদম বানানোর প্রণালি : রসগোল্লা তুলে নিয়ে ওই রসে এক কাপ চিনি দিয়ে ফুটিয়ে রসটা ঘন করে নিন। রসগোল্লাগুলোকে রসে পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে। আধা ঘণ্টা ঢাকনা দিয়ে রেখে দিন। রস থেকে তুলে একটা প্লেটে কিছু ক্ষণ রসগোল্লাগুলো রাখতে হবে যাতে বাড়তি রস ঝরে যায়। মেওয়া অথবা খোয়াতে ২ থেকে ৩ টেবল-চামচ গুঁড়ো চিনি মিশিয়ে মসৃণ করে মেখে নিতে হবে, যেন কোনো ডেলা না থাকে। এ বার প্রতিটা রসগোল্লা মেওয়া/খোয়া মাখিয়ে গোল করে নিতে হবে। এর পর গুঁড়ো দুধ মাখিয়ে এমনি বা ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।

ক্ষীর কদম

রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ১ অক্টোবর ২০১৩
Manob_Kantha_logo

ছাঁচের সন্দেশ

[ ছয়জনের জন্য ]
উপকরণ : গুঁড়া দুধ দুই কাপ, ময়দা আধা কাপ, চালের গুঁড়া আধা কাপ, চিনি দেড় কাপ, পানি এক কাপ।

প্রণালি : পানি ও চিনি জ্বাল দিতে হবে। সিরা ঘন হয়ে এলে দুধ, ময়দা ও চালের গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে সিরার মধ্যে দিয়ে পাক দিতে হবে। এবার ছাঁচ দিয়ে ছাঁচের সন্দেশ বানাতে হবে।

ছাঁচের সন্দেশ
রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ১২ এপ্রিল ২০১১
PALO


রসগোল্লা

উপকরণ : ছানা ৩ কাপ, ময়দা ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, সুজি ২ চা চামচ, চিনি ২ টেবিল চামচ, খাওয়ার সোডা ১ চিমটি, এলাচি গুঁড়া সামান্য।

সিরা তৈরি : ৫ কাপ চিনি ৫ কাপ পানি দিয়ে জ্বাল করে পাতলা সিরা তৈরি করে নিতে হবে।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. একটি ছড়ানো পাত্রে মুঠমুঠ করে ময়ান করা ছানা দিয়ে একে একে সব শুকনা উপকরণ ছড়িয়ে দিন।
২. হাতের তালু দিয়ে সব উপকরণ ভালোভাবে মেখে নিন।
৩. এবার হাতে তেল মেখে ছানার মিশ্রণকে গোল গোল মিষ্টি বানান।
৪. এবার পাতলা সিরায় মিষ্টি দিয়ে চুলার আচ বাড়িয়ে ঢেকে দিন।
৫. মিষ্টি যখন ফুলে দ্বিগুণ হয়ে যাবে, তখন চামচে করে গরম সিরার মধ্যে ঠাণ্ডা পানি মিলিয়ে দিন।
৬. মিষ্টি সেদ্ধ হলে নামিয়ে ৭-৮ ঘণ্টা সিরায় রেখে এরপর পরিবেশন করুন।

রসগোল্লা

রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ৮ এপ্রিল ২০১৩
logo_ KALER KANTHA.gif

লালমোহন

উপকরণ : গুঁড়াদুধ আধা কাপ, ময়দা এক কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, বেকিং পাউডার ১ চা চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, ফেটানো ডিম ২টি, চিনি ৩ কাপ, পানি ৫ কাপ, তেল ভাজার জন্য।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. ময়দা, বেকিং পাউডার, গুঁড়াদুধ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে ১ টেবিল চামচ ঘি মিশিয়ে ভালো করে ময়দা ঝুরঝুরা করে নিন।
২. আলাদা পাত্রে ডিম ফেটিয়ে ময়দার মিশ্রণে পরিমাণমতো ডিম দিয়ে চামচের সাহায্যে মিশিয়ে দিন।
৩. এবার মিষ্টি রাখার পাত্রে এবং হাতেও ঘি মেখে নিন। পরিমাণমতো মিশ্রণ হাতে নিয়ে লালমোহনের আকারে বানান।
৪. চুলায় তেল প্রথমে গরম করে পরে ঠাণ্ডা করুন। তারপর ঐ তেলে মিষ্টি দিয়ে মৃদু আঁচ দিন।
৫. লালমোহনের রং লালচে হলে নামান।
৬.এবার চুলায় সিরা ফুটে উঠলে মিষ্টি দিয়ে ঢেকে দিন।
৭. ১৫ মিনিট পর ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে নামান।
৮.৩-৪ ঘণ্টা পর সিরা থেকে তুলে মাওয়া ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

লালমোহন
রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ৮ এপ্রিল ২০১৩

logo_ KALER KANTHA.gif

মালাইচপ

উপকরণ : স্পঞ্জ রসগোল্লা ১০টি, দুধ ১ লিটার, চিনি আধা কাপ, ঘি ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে এর মধ্যে চিনি দিন।
২. চিনি গলে গেলে একবার বলক তুলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন।
৩. আবার দুধ চুলায় দিয়ে সামান্য গরম হলে, গরম সিরা থেকে স্পঞ্জ রসগোল্লা তুলে চুলায় বসানো দুধে দিন।
৪. ঢাকনা খুলে জ্বাল দিন। দুধ ঘন হলে ১ টেবিল চামচ ঘি দিন।
৫. ৩ ঘণ্টা ফ্রিজের নরমাল তাপমাত্রায় রেখে তারপর পরিবেশন করুন।

মালাইচপ

রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ৮ এপ্রিল ২০১৩
logo_ KALER KANTHA.gif

স্পঞ্জ রসগোল্লা

উপকরণ : ছানা ১ কাপ, চিনি ৩ কাপ, পানি ৫ কাপ, দুধ ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন
১. চুলায় কড়াই দিয়ে পানি ও চিনি জ্বাল দিয়ে পাতলা সিরা করুন।
২. ছানা ময়ান করে গোল গোল মিষ্টি বানিয়ে বলকানো সিরায় দিয়ে আঁচ বাড়িয়ে ঢেকে ১৫ মিনিট জ্বাল দিন।
৩. ১৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে ২-৩ মিনিট জ্বাল দিয়ে আধা কাপ ঠাণ্ডা পানি গরম সিরার মধ্যে ঢেলে দিন।
৫. মাঝেমাঝে নেড়ে দিন। মিষ্টি সেদ্ধ হয়ে যখন ডুবে থাকবে তখন নামিয়ে আন্দাজ মতো ঠাণ্ডা পানি আবার দিয়ে নেড়ে ৭-৮ ঘণ্টা এভাবে রেখে দিন। এরপর পরিবেশন করুন।

স্পঞ্জ রসগোল্লা
রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ৮ এপ্রিল ২০১৩

logo_ KALER KANTHA.gif


মুগডালের লাড্ডু

উপকরণ : মুগডাল ৫০০ গ্রাম, ঘি ১ কাপ, অ্যারাবিয়ান গাম ৫০ গ্রাম (মসলার দোকানে পাওয়া যাবে), সাদা তিল ২ টেবিল-চামচ, আইসিং সুগার ১ কাপ, কিশমিশ, পেস্তা ও কাঠবাদাম সব মিলিয়ে আধা কাপ।

প্রণালি : মুগডাল চুলার পাশে রেখে অথবা হালকা ভেজে নিয়ে পাটায় গুঁড়া করে চেলে নিতে হবে। এই ডাল আবার হাঁড়িতে বাদামি করে ভেজে ঠান্ডা করতে হবে। অ্যারাবিয়ান গাম ছোট ছোট টুকরা করে ভেঙে নিতে হবে। ২ টেবিল-চামচ ঘি গরম করে তাতে ১ টেবিল-চামচ অ্যারাবিয়ান গাম ছেড়ে ভাজতে হবে। এতে দেখা যাবে, গামগুলো পাঁপড়ের মতো ফুলে মচমচা হয়ে যাবে। এভাবে একটু একটু করে দিয়ে সব গাম ভেজে ঠান্ডা করতে হবে এবং আধা ভাঙা করে রাখতে হবে। কড়াইয়ে ২ টেবিল-চামচ ঘি দিয়ে কিশমিশ, পেস্তা, কাঠবাদাম ও তিল পর্যায়ক্রমে দিয়ে ভেজে তুলতে হবে। এবার ভাজা ডাল, অ্যারাবিয়ান গাম, বাদাম ও আইসিং সুগার একসঙ্গে একটি ছড়ানো পাত্রে মেশাতে হবে। একটু ঘি গরম করে তাওয়ার ওপর রাখতে হবে। সবশেষে এই ডাল ও বাদামের মিশ্রণ অল্প অল্প করে পরিমাণমতো গরম ঘি দিয়ে এমনভাবে মাখাতে হবে যেন ওই মিশ্রণ হাতে গোল করা যায়। তারপর লাড্ডু বানাতে হবে।

মুগডালের লাড্ডু

গুড়ের পানতোয়া

উপকরণ : ছানা ২ কাপ, ময়দা আধা কাপ, মাওয়া দেড় কাপ, গুড় ১ টেবিল চামচ, এলাচ গুঁড়া সামান্য, ঘি সোয়া ৩ টেবিল চামচ, খাবার সোডা আদা চা চামচ, তেল ভাজার জন্য।

প্রণালী : ছানা গ্রেট করে নিন। অন্য পাত্রে ঘি, ময়দা, সোডা, গুড়, এলাচ গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার ছানার সঙ্গে মেখে গোল্লা বানিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিন। ভাজা হলে নামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে সিরায় ডুবিয়ে দিন। এভাবে কয়েক ঘণ্টা রাখুন।

সিরা : পানি ৪ কাপ, গুড় ২ কাপ। একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে সিরা করে নিন।

গুড়ের পানতোয়া

রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ১৬ অক্টোবর ২০১২

Manob_Kantha_logo


সন্দেশ বাহারি

উপকরণ : ছানা ২ কাপ, আইসিং সুগার ৪ কাপ, নলেন গুড় ৪ টেবিল চামচ, পেস্তাকুচি আধা চা চামচ, চেরি কুচি ১টি।

প্রণালী : ২ লিটার দুধ এক বলক এনে ১ কাপ পানি ও সিরকা একসঙ্গে মিশিয়ে দুধে ঢেলে ছানা বানিয়ে নিন। ছানার পানি ঝরিয়ে নিন। এবার কাঁচা ছানা ভালো করে মিশিয়ে তার সঙ্গে চিনি গোল বানিয়ে মাঝখানে গর্ত করে কয়েক ফোঁটা নলেন গুড় দিয়ে মুখ বন্ধ করে কোনা ডাইসের মধ্যে ভরে চাপ দিয়ে বের করে নিন। এরপর ওপরে বাদাম ও চেরি কুচি দিয়ে ডেকোরেশন করুন।

সন্দেশ বাহারি

রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ১৬ অক্টোবর ২০১২

Manob_Kantha_logo

নানাপ্রকার চমচম রেসিপি

নানাপ্রকার চমচম রেসিপি


মজাদার মালাই চমচম বানাবেন যেভাবে


মিষ্টির দোকানে থরে থরে নানান রকম মিষ্টি সাজানো থাকে। মিষ্টির প্রতি দূর্বলতা থাকলে দোকানে আকর্ষনীয় ভাবে সাজানো এই মিষ্টিগুলোর আবেদন অগ্রাহ্য করা অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু বর্তমান সময়ে ভেজাল এবং দামের কারণে মিষ্টি কিনে খাওয়ার ইচ্ছা অনেকেরই চলে গিয়েছে। কেমন হতো যদি বাড়িতেই বানিয়ে ফেলা যেতো মজাদার এই মিষ্টিগুলো?

মিষ্টির দোকানে অন্যতম জনপ্রিয় ও আকর্ষনীয় একটি মিষ্টি হলো মালাই চমচম। খুব সহজেই বাড়িতেই বানানো যায় সুস্বাদু মিষ্টিটি। আসুন জেনে নেয়া যাক রেসিপিটি।


উপকরণ:
১ লিটার দুধের ছানা

১ লিটার দুধ ঘন করে বানানো ক্ষীর

চিনি ২ কাপ
পানি ৫ কাপ
খাবার রঙ ১/২ চা চামচ (ইচ্ছা)
পেস্তা কুচি ২ টেবিল চামচ
জাফরান (সামান্য)

প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমে দুধ ঘন করে সেটাকে ছানা বানিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।

এবারে ছানা টা হাতের তালু দিয়ে খুব ভাল করে চটকে নরম করে মেখে নিন।

এবার এর মধ্যে অল্প জাফরান এবং খাবার রঙ মিশিয়ে ভাল করে মেখে নিতে হবে।
এখন ছানার থেকে অল্প করে হাতের তালুতে নিয়ে গোল করে বলের মত আকৃতি দিতে হবে।
এরপর বলগুলোকে আঙ্গুল দিয়ে চেপে চমচমের আকারে একটু লম্বা ও চ্যাপ্টা করে আকৃতি দিয়ে নিতে হবে।
এবারে ২ কাপ চিনি আর ৪ কাপ পানি দিয়ে প্রেসার কুকারে ফুটতে দিতে হবে।
ফুটে উঠলে চমচম গুলো রসের মধ্যে ঢেলে দিতে হবে এবং প্রেসার কুকারের ঢাকা বন্ধ করে দিতে হবে। এরপর প্রেসার কুকারে একটি সিটি বেজে উঠলে ঢাকনা খুলে দিন।
এরপর চুলার জ্বাল কমিয়ে আরো ৭/৮ মিনিট রাখুন। এরপর চুলা বন্ধ করে প্রেসার কুকারটি ঠান্ডা পানির ওপর রাখুন অথবা বাতাসে রাখুন।
পাত্রে চমচম গুলো আলাদা করে তুলে রাখুন।
আগে থেকে বানিয়ে রাখা ক্ষীর চমচমের ওপরে ঢেলে দিন।
ওপরে পেস্তা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন মজাদার মালাই চমচম।



 মুগ চমচম

উপকরণ : ভাজা মুগ ডাল ১ কাপ, ময়দা ১ কাপ, নারিকেল বাটা হাফ কাপ, চিনি ২ টেবিল চামচ, ঘি ৪-২ টেবিল চামচ, তেল ভাজার জন্য। পুরের জন্য কোরানো নারিকেল হাফ কাপ, চিনি হাফ কাপ। নারিকেল, চিনি একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে পুর তৈরি করে নিন।

সিরার জন্য : চিনি ২ কাপ, পানি ১ কাপ। একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে সিরা তৈরি করে নিন।

প্রণালি : মুগ ডাল সিদ্ধ করে শুকনো করে বেটে নিন। ময়দা ও ঘি ময়ান করে বাটা মুগ ডাল ও সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে ঘণ্টাখানেক রেখে দিন। এবার খামির ১৮-২০ ভাগ করে গোল গোল করে বানিয়ে ভেতরে পুর ভরে মুখ বন্ধ করে ডুবো তেলে বাদামি করে ভেজে চিনির সিরায় ছেড়ে দিন। হয়ে গেলে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।


ঘিয়ে ভাজা চমচম 

Sw_24


Friday, December 13, 2013

Wednesday, December 11, 2013

Tuesday, December 10, 2013

নড়াইলের মিষ্টির খ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে এখন বিদেশে

নড়াইলের মিষ্টির খ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে এখন বিদেশে


নড়াইলের মিষ্টির খ্যাতি দেশ পেরিয়ে এখন বিদেশ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ‘রসগোল্লা’, ‘দই’ ও ‘ক্ষীরের সন্দেশ’-এর লোভনীয় স্বাদ দেশের মিষ্টিপ্রিয় মানুষকেই শুধু কাছে টানে না, কাছে টানছে বিদেশিদেরও।



জানা গেছে, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্ণীপাশার চম্পকের রসগোল্লার খ্যাতি যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে লোহাগড়ার খেয়াঘাটের সঞ্জয়ের দোকানের ক্ষীরের সন্দেশ ও দধির খ্যাতি। পাশাপাশি নড়াইল জেলা সদরের রূপগঞ্জ বাজারের কার্তিক কুন্ডু এবং পরিতোষের মিষ্টি-বিশেষ করে গুড়ের সন্দেশ, প্যাড়া সন্দেশ, চমচম, রাজভোগ, সানার জিলাপী এবং খিরচা মিষ্টির নাম মনে উঠলে মিষ্টি পিপাসুদের জিহ্বায় জল আসে। আর বিয়ে, জন্মদিন, বৌভাতসহ বিভিন্ন আনন্দ অনুষ্ঠানে এসব মিষ্টিই আনন্দময় মুহূর্তগুলো আরও আনন্দময় করে তোলে।
প্রবাসীরা এসব মিষ্টির স্বাদ নিতে ভুলেন না। বিদেশিরাও নড়াইলের মিষ্টির সৃষ্টিতে তুষ্ট হন। এ জেলার পাশাপাশি গোপালগঞ্জ, যশোর, খুলনা, মাগুরা, ঝিনাইদহসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার মানুষ নড়াইলের রুপগঞ্জ লঞ্চঘাটের পরিতোষ মিষ্টান্ন ভান্ডার, কার্তিক কুন্ডুর মিষ্টি, নড়াইল পুরাতন ফেরিঘাটের দই, ক্ষীরচা, চমচম, গুড়ের সন্দেহসহ বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি কিনে নিয়ে নতুন-পুরাতন অতিথিদের অপ্যায়ন করে থাকেন।
পরিতাষ মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী পরিতোষ কুমার ও লোহাগড়ার সঞ্জয় কুমার জানান, গরুর খাঁটি দুধ জ্বালিয়ে তৈরি করা হয় ‘ছানা’। আর এর সঙ্গে চিনি, এলাচ, দারুচিনি মিলিয়ে তৈরি হয় এসব মিষ্টি। প্রতিকেজি রসগোল্লা ১শ’ ৫০ থেকে ১শ’ ৭০ টাকা, চমচম ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, দই ১১০ থেকে ১৩০ টাকা, ক্ষীর ও গুড়ের সন্দেস ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, রসমালাই ৩০০ টাকা, ক্ষীরচা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। এসব মিষ্টির দোকানগুলোতে অন্তত ৫০০ কারিগর রয়েছে।
সঞ্জয়’র ক্ষীরের সন্দেস কিনতে আসা লোহগড়ার আমাদা আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ আল ফয়সাল খান ও সৌদিপ্রবাসী ফারুক হোসেন জানান, এখানকার মিষ্টির তুলনাই হয় না। রসগোল্লা, দই, ক্ষীর ও গুড়ের সন্দেশ খেলে এক অন্যরকম তৃপ্তি পাওয়া যায়। শুধু দেশেই নয়, নড়াইলের মিষ্টির খ্যাতি বিদেশেও রয়েছে। কালিয়ার যাদবপুরের সিঙ্গাপুর প্রবাসী মানিক ভূঁইয়া বলেন, নড়াইলের মিষ্টি প্রবাসীসহ এখানকার (সিঙ্গাপুর) স্থানীয়দের মধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
জাপান প্রবাসী লক্ষ্ণীপাশার গুল মোহাম্মদ ঠাকুর ওরফে মনি ও লোহাগড়ার মোচড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জামাল হোসেন জানান, এসব দেশে নড়াইলের মিষ্টির ব্যাপক কদর রয়েছে।মোচড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জামাল ও কালিয়ার পুরুলিয়া গ্রামের লিবিয়া প্রবাসী তৌফিক জানান, বিদেশিদের জন্য এখানকার (নড়াইল) মিষ্টি সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিভিন্ন প্রকার সুস্বাদু মিষ্টি খেয়ে তৃপ্ত হন তারা (বিদেশিরা)। তাই, নড়াইলের মিষ্টির খ্যাতি দিন দিন বিদেশিও ছড়িয়ে পড়ছে।সব মিলিয়ে নড়াইলে মিষ্টি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও যাচ্ছে।মিষ্টি ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বিদেশে মিষ্টি রফতানি করে এ জেলা থেকে বছরে প্রায় ৫ কোটি টাকা বৈদেশিক রেমিটেন্স আয় সম্ভব।
প্রতিবেদনঃ সুলতান মাহমুদ
সম্পাদনাঃ মোঃ হারুন-অর-রশিদ    

Source: http://jessore.info      

টাঙ্গাইলের প্রসিদ্ধ চমচম

টাঙ্গাইলের প্রসিদ্ধ চমচম



মো. রেজাউল করিম::টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম। যার নাম শুনলেই জিভে পানি আসে। অতুলনীয় স্বাদ আর সুগন্ধের কারণে দেশে ব্যাপক সুনাম রয়েছে টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচমের। পোড়া ইটের মতো রঙের এই বিখ্যাত সুস্বাদু চমচমের কড়া মিষ্টির আবরণের ভিতরে রয়েছে গোলাপী আভাযুক্ত নরম অংশ। মিষ্টি জগতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ঐতিহ্যবাহী এই চমচম বৃটিশ আমল থেকে অবিভক্ত ভারতবর্ষসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টাঙ্গাইলকে ব্যাপকভাবে পরিচিতি করেছে। অনেকের মতে, গৌড় নামের এক ব্যক্তি সর্বপ্রথম পোড়াবাড়িতে এই সুস্বাদু চমচম তৈরি ব্যবসা শুরু করেন।

চমচম ব্যবসায়ী রণজি ঘোষ জানান, পোড়াবাড়ির চমচমের সৃষ্টি রহস্য। টাঙ্গাইল জেলা শহর থেকে প্রায় কিলোমিটার পশ্চিমে এই পোড়াবাড়িতে এক সময় লঞ্চঘাট ছিল। বৃটিশ আমলে ধলেশ্বরী নদীর ঢালান ঘাটে ভিড়ত স্টিমার আর মালবাহী জাহাজ। ওই সময় দেশ বিদেশের মানুষ নামত পোড়াবাড়িতে। দেশ বিদেশের মানুষের আগমনে পোড়াবাড়ি ছিল জমজমাট ব্যবসা কেন্দ্র। তখন আসাম থেকে আগত দশরথ গৌড় ধলেশ্বরীর সুস্বাদু পানি এখানকার গাঢ় দুধ দিয়ে চমচম নামের এই মিষ্টি প্রথম তৈরি করেন। চমচমের স্বাদ মূলত পানির ওপর নির্ভরশীল। পোড়াবাড়ি পানির মধ্যে মিষ্টি তৈরির মূল রহস্যনিহিত।
বাংলাদেশের অনেক জায়গায় টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ি থেকে কারিগর নিয়ে চমচম তৈরির চেষ্টা করেও কেউ সফল হতে পারেননি। অপূর্ব স্বাদের ফলে এ চমচম সারা ভারতবর্ষে সুখ্যাতি লাভ করে। পূর্বে লঞ্চ, স্টিমার করে পোড়াবাড়ির চমচম ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যেত। প্রতিদিন ২শ’ থেকে ৩শ’ মণ চমচম তৈরি করা হতো পোড়াবাড়ির বিভিন্ন চমচম কারখানায়। যমুনার কোলে প্রবল স্রোতস্বিনী ধলেশ্বরী নদীর সুস্বাদু পানি, গাভীর ঘন দুধ ও কারিগরদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় পোড়াবাড়ির চমচম ‘মিষ্টির রাজা’ হিসেবে সুনাম অর্জন করে। ব্যাপক সাফল্যের কারণে তখন পোড়াবাড়িতে ৩৫-৪০টি চমচম তৈরির দোকান গড়ে ওঠে। চমচম তৈরির সঙ্গে যুক্ত হয় প্রায় ২ শতাধিক পরিবার। চমচমের স্রষ্টা দশরথ গৌড়ের সঙ্গে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে রাজারাম গৌড়, নারায়ণ হালুই, মোদন গৌড়, শিব শংকর ও কুশাই দেবের নাম উল্লেখযোগ্য।
টাঙ্গাইলের একজন প্রবীণ চমচম ব্যবসায়ী সম্ভু ঘোষ জানান, ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিক থেকেই পোড়াবাড়িতে প্রথম চমচম তৈরি শুরু হয়। এ সময় দুধ ছিল খুবই সস্তা। দুধের কোনো মাপ ছিল না। এক ঘটি দুধের দাম ছিল তিন পয়সা থেকে পাঁচ পয়সা। প্রতি সের চমচম বিক্রি হতো সাত আনা থেকে আট আনায়। চল্লিশের দশকে চমচম বিক্রি হতো ১টাকা সের। বর্তমানে ১৪০ থেকে ২৫০ টাকায় এক কেজি মিষ্টি বিক্রি করে লাভ হয় ১০ টাকা থেকে ১২ টাকা। আর তখন এক সের চমচম ৫ সিকিতে বিক্রি করে আট আনা লাভ হতো। বহু দেশবরেণ্য ব্যক্তিরা পোড়াবাড়ির চমচমের ভক্ত ছিলেন। এর মধ্যে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, জাদু সম্রাট পিসি সরকার, শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নাম উল্লেখযোগ্য। জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নী, নবাব আলী চৌধুরী, প্রিন্সিপাল ইব্রহিম খাঁ, প্রমথ নাথ চৌধুরীসহ অনেক ব্যক্তিত্বের পদচারণায় পোড়াবাড়ি ধন্য হয়। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী পোড়াবাড়ি মদন লালের মিষ্টি ঘরে বসতেন। চমচম নিয়ে আপ্যায়ন করতেন রাজনৈতিক শিষ্য ও ভক্তদের। ত্রিশ দশকের শেষের দিকে আসামের রামেন্দ্র ঠাকুর, তীর্থবাসী ঠাকুর টাঙ্গাইল শহরের পাঁচআনী বাজারে মিষ্টি তৈরিসহ ব্যবসা শুরু  করেন। এরপর থেকে পাঁচআনী বাজার মিষ্টিপট্রি নামে পরিচিতি হয়ে আছে।
১৯৬০ সালের পর টাঙ্গাইল মহকুমার টাঙ্গাইল সদরে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে। এ সময় ধলেশ্বরীর বুকে জেগে উঠে অসংখ্য চর। যে ধলেশ্বরী তার বুকের যৌবন সুধা ফেলে দিয়েছিল চমচমের ওপর, পরবর্তীতে গুটিয়ে নেয় তার ব্যাপ্তি। বন্ধ হয়ে যায় পোড়াবাড়ির লঞ্চ ও স্টিমার ঘাট। জনবহুল পোড়াবাড়ি এক সময় জনশূন্যে হয়ে যায়। কারিগর-শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়ে। তারা পরে অন্য পেশায় চলে যায়।
বর্তমানে পোড়াবাড়ির অবস্থা করুন। নানা সমস্যায় জর্জরিত ছোট একটি বাজারে মাত্র ৪/৫টি জড়াজীর্ণ মিষ্টির দোকান ঐতিহ্যকালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তবে বাজারের আশপাশের ৬/৭টি বাড়িতে এখনো মিষ্টি তৈরি হয় এবং তারা ঢাকা, ময়মনসিংহ, যশোর, বগুড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করছে। এছাড়াও শহরের পাঁচআনী বাজারে কয়েকজন মিষ্টি ব্যবসায়ী ঢাকার শতাধিক দোকানসহ প্রায় দেশের ৫ শতাধিক মিষ্টি ব্যবসায়ীদের এই মিষ্টি সরবরাহ করে থাকে। অপরদিকে কিছু কিছু অসাধু মিষ্টি ব্যবসায়ী টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচমের নাম করে বড় বড় সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে ঢাকাসহ কয়েকটি জায়গায় মিষ্টির দোকান গড়ে তুলেছে। এসব দোকান থেকে মানুষ প্রতারিত হচ্ছে আসল নকল চমচম চেনা বড় দায় হয়ে পড়েছে। পোড়াবাড়ির আসল চমচমের কারিগররা অর্থের অভাবে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। অন্যদিকে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে পোড়াবাড়ির নাম ভাঙিয়ে ভেজাল চমচম বিক্রি করে অনেকেই বাড়ি গাড়ির মালিক হয়েছেন।  এতে পোড়াবাড়ির চমচম ঐতিহ্যবাহী গৌরব হারিয়ে ফেলছে। প্রকৃত কারিগর ও ব্যবসায়ীরা আর্থিক লাভ থেকে বঞ্চিত হয়ে এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্তদের অভিমত, এ গৌরবময় ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারিভাবে কারিগরদের পৃষ্ঠপোষকতা করার পাশাপাশি ভেজাল চমচম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। ভেজাল আর নকলের ভিড়ে হয়ত আসল চমচম আর ভেসে উঠবে না। তাহলে হারিয়ে যাবে ঐতিহ্য আর গৌরব?

Wednesday, December 4, 2013

আলু দিয়ে তৈরি মিষ্টি খেয়েছেন কি? রইলো আলুর গোলাপজামের রেসিপি

আলু দিয়ে তৈরি মিষ্টি খেয়েছেন কি? রইলো আলুর গোলাপজামের রেসিপি


পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজিটির নাম কী? নিশ্চয়ই আলুর নাম বলবেন! হ্যা, আলুই বটে! অথচ মজার কথা কি জানেন, লোকসমাজে আসার আগে এই আলু ছিল বন্য বাইসনদের খাদ্য। আলুর আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। পরে ১৬শ শতকে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সহজ চাষপদ্ধতি ও সংরক্ষণের সুবিধার কারণে আলু সারা বিশ্বেই চাষ করা হয়।
সবজি হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। স্বাদে তো বটেই পুষ্টিগুণেও পিছিয়ে নেই আলু। এতে রয়েছে শর্করা, আঁশ, খনিজ উপাদান, ভিটামিন ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। সারা বিশ্বে আলু বিভিন্ন ভাবে খাওয়া হয়। তরকারি, ভাজি, ভর্তা, সালাদ, চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ইত্যাদি। কিন্তু আলু দিয়ে তৈরি মিষ্টি খেয়েছেন কি? রইলো আলুর গোলাপজামের রেসিপি। একবার খেয়েই দেখুন না, ভালো না লেগে যাবেই না!
gulabjamun024

উপকরণ :

আলু সেদ্ধ বাটা- ২ কাপ,
ময়দা- ২ কাপ,
ছানা- ৮ টেবিল চামচ,
বেকিং পাউডার- আধা চা চামচ,
ঘি- ৮ টেবিল চামচ,
এলাচ গুঁড়া- আধা চা চামচ,
ভাজার জন্য তেল- পরিমাণমতো,
চিনি- ৬ কাপ।

প্রস্তুত প্রণালী :

  • -৬ কাপ চিনির সাথে ৬ কাপ পানি মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে সিরা তৈরি করে নিন।
  • -ময়দা পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন।
  • -৪ টেবিল চামচ ঘি ও ভাজার জন্য তেল বাদে বাকি সব উপকরণ একসাথে ভালো করে মেখে নিন।
  • -এবার মিশ্রণটি কালোজামের আকারে গড়ে নিয়ে একটা ডিশে বিছিয়ে রাখুন।
  • -কড়াইয়ে তেল ও বাকি ঘিটুকু দিন। গরম হয়ে এলে এতে গোলাপজাম গুলো হালকাভাবে ছেড়ে দিন।
  • -ডুবো তেলে গোলাপজামগুলো ভেজে নিন।
  • -ভাজা হয়ে গেলে সিরায় ডুবিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক।
  • -ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন ডিশে রেখে ওপরে মাওয়া ছিটিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

Tuesday, December 3, 2013

রেসিপি : পাউরুটির শাহি মিষ্টি

রেসিপি : পাউরুটির শাহি মিষ্টি


ইফতারের রেসিপি : পাউরুটির শাহি মিষ্টি
রেসিপি : পাউরুটির শাহি মিষ্টি













প্রয়োজনীয় উপকরণ :  দুধ (দেড় লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করতে হবে) সোয়া কাপ, ময়দা আধা কাপ, পাউরুটি তিন-চার টুকরা, সুজি সিকি কাপ, মাওয়া আধা কাপ, এলাচি গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ ১ চিমটি, চিনি সিকি কাপ, দুধের সর আধা কাপ, জাফরান আধা চা-চামচ, বাদাম/পেস্তা ১ টেবিল চামচ, গোলাপ জল ২ চা-চামচ, ঘি ৪ টেবিল চামচ, তেল ভাজার জন্য। 

শিরার জন্য উপকরন :  চিনি ৩ কাপ, পানি ৩ কাপ একত্রে মিশিয়ে চুলায় দিন। চিনি গলে কয়েকবার ফুটে উঠলে সিকি চামচ জফরান ও গোলাপজল দিয়ে নামিয়ে রাখুন। শিরাটা পাতলা হবে।

প্রস্তুত প্রণালি :  বাটিতে ঘন দুধের সঙ্গে আধা চা-চামচ জাফরান মিশিয়ে তিন টুকরা পাউরুটি ছিঁড়ে ভিজিয়ে রাখুন ঘণ্টা খানেক। অন্য পাত্রে ময়দার সঙ্গে সুজি, এলাচি গুঁড়া (আধা চা-চামচ) ও চিনি মিশিয়ে পাউরুটির সঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। তারপর তাতে দুধের সর, সিকি কাপ মাওয়া, আধা টেবিল চামচ বাদাম পেস্তা দিয়ে আরও একবার ব্লেন্ড করে মিষ্টি তৈরির জন্য মসৃণ গোলা তৈরি করুন। 

যে বাটিতে মিষ্টি রাখবেন, সেটাতে অর্ধেক শিরা ঢেলে রাখুন। কড়াই বা ফ্রাইপ্যানে ডুবোতেলে মিষ্টি ভাজার আন্দাজে তেল ও চার টেবিল চামচ ঘি গরম করে এক চামচ করে গোলা নিয়ে মিষ্টি সোনালি রং করে ভেজে নিন। তেল ছেঁকে মিষ্টি রাখার বাটিতে শিরায় ছেড়ে দিন। ওপর থেকে মাওয়া, বাদাম পেস্তা ও এলাচি গুঁড়া ছড়িয়ে দিন। তিন ঘণ্টা বা চার ঘণ্টা পর পরিবেশন করুন।