আপনার
সৃষ্টি, ঘরের মিষ্টি
মিষ্টি
খেতে কমবেশি সবাই ভালোবাসে। চাইলে ঘরে বসেই মিষ্টি বানাতে পারেন, সরবরাহ করতে পারেন দোকানে। ঘরোয়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও রয়েছে বাসায় বানানো মিষ্টির চাহিদা। জানাচ্ছেন আলমগীর কবীর
সব ধরনের মিষ্টিরই কমবেশি চাহিদা রয়েছে। প্রথমে ঠিক করতে হবে কোন ধরনের মিষ্টি আপনি বানাবেন। ঘরে বসেই রসগোল্লা, চমচম, রসমালাই, জিলাপি, সন্দেশ বানাতে পারেন। স্বল্প পরিসরে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়েই শুরু করতে পারেন।
প্রয়োজনীয়
উপকরণ
মিষ্টি তৈরিতে লাগবে বড় কড়াই, গামলা, বড় চামচ, চিনি, ময়দা, দুধ ও ঘি। বাজার থেকে মিষ্টি তৈরির উপকরণগুলো কিনতে হবে। তবে উপকরণ কেনার বেলায় চোখ-কান খোলা রাখা জরুরি। ময়দা, দুধ, ঘি, চিনি যেন মানসম্মত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মিষ্টি বানানোর ব্যাকরণ
মিষ্টির
মধ্যে রসগোল্লার বেশ চাহিদা রয়েছে। রসগোল্লা তৈরিতে লাগবে দুধ, সিরকা, সুজি, চিনি, পানি ও এলাচ। একটি পাত্রে দুধ জ্বাল দিন। দুধ যখন টগবগ করে ফুটতে থাকবে তখন সিরকা দিন এবং ভালোভাবে নাড়ুন। দুধ ছানা হয়ে গেলে ছাকনিতে ঢেলে ঠাণ্ডা করে নিন। এরপর হাত দিয়ে চিপে ছানা থেকে পানি বের করুন। একটি পাত্রে ছানা, সুজি, চিনি ও বেকিং পাউডার ভালো করে মেখে নিন। ছানা দুই হাতের তালুতে ঘুরিয়ে গোল গোল করে রাখুন। পানি, চিনি ও এলাচ একসঙ্গে জ্বাল দিন।
ফুটন্ত পানিতে গোল গোল করে রাখা ছানাগুলো একে একে দিয়ে পাত্রটি ঢেকে রাখুন। কিছুক্ষণ পর তৈরি হবে রসগোল্লা। এভাবে সব ধরনের মিষ্টি বানানোর কায়দা জেনে এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
বাজারজাতকরণ
বাজারে ভেজালের ভিড়ে নিশ্চয় ঘরে বানানো মিষ্টির কদর থাকবে। সে ক্ষেত্রে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করাটা জরুরি।
পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছে ও আশপাশের দোকানে মিষ্টি তৈরির ব্যাপারটি জানিয়ে রাখুন। প্রথমে প্রতিবেশীদের চাহিদামতো সরবরাহের ব্যবস্থা করুন। বিভিন্ন এলাকার খুচরা মিষ্টি বিক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। অগ্রিম অর্ডার নিয়ে রাখতে পারেন।
বানানো মিষ্টির ব্র্যান্ড
আপনার হাতে বানানো মিষ্টির শ্রুতিমধুর নামও দিতে পারেন। একসময় এ মিষ্টি নামকরা ব্র্যান্ডে পরিণত হতে পারে। পুঁজি বাড়িয়ে হাতের নাগালে মিষ্টির শোরুমও দিতে পারেন। এভাবেই মিষ্টির প্রচার ও প্রসার বাড়বে।
প্রশিক্ষণ
দরকারি
মিষ্টি বানানোর বেলায় প্রশিক্ষণটা জরুরি। আশপাশে ভালো মিষ্টি বানায় এমন কোনো কারিগরের কাছ থেকে মিষ্টি বানানো শিখে নিন। আপনি চাইলে মিষ্টির জগতে নামডাক আছে এ রকম কোনো কম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকেও প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
Source: http://www.kalerkantho.com
This comment has been removed by a blog administrator.
ReplyDelete