Pages

Tuesday, December 10, 2013

নড়াইলের মিষ্টির খ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে এখন বিদেশে

নড়াইলের মিষ্টির খ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে এখন বিদেশে


নড়াইলের মিষ্টির খ্যাতি দেশ পেরিয়ে এখন বিদেশ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ‘রসগোল্লা’, ‘দই’ ও ‘ক্ষীরের সন্দেশ’-এর লোভনীয় স্বাদ দেশের মিষ্টিপ্রিয় মানুষকেই শুধু কাছে টানে না, কাছে টানছে বিদেশিদেরও।



জানা গেছে, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্ণীপাশার চম্পকের রসগোল্লার খ্যাতি যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে লোহাগড়ার খেয়াঘাটের সঞ্জয়ের দোকানের ক্ষীরের সন্দেশ ও দধির খ্যাতি। পাশাপাশি নড়াইল জেলা সদরের রূপগঞ্জ বাজারের কার্তিক কুন্ডু এবং পরিতোষের মিষ্টি-বিশেষ করে গুড়ের সন্দেশ, প্যাড়া সন্দেশ, চমচম, রাজভোগ, সানার জিলাপী এবং খিরচা মিষ্টির নাম মনে উঠলে মিষ্টি পিপাসুদের জিহ্বায় জল আসে। আর বিয়ে, জন্মদিন, বৌভাতসহ বিভিন্ন আনন্দ অনুষ্ঠানে এসব মিষ্টিই আনন্দময় মুহূর্তগুলো আরও আনন্দময় করে তোলে।
প্রবাসীরা এসব মিষ্টির স্বাদ নিতে ভুলেন না। বিদেশিরাও নড়াইলের মিষ্টির সৃষ্টিতে তুষ্ট হন। এ জেলার পাশাপাশি গোপালগঞ্জ, যশোর, খুলনা, মাগুরা, ঝিনাইদহসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার মানুষ নড়াইলের রুপগঞ্জ লঞ্চঘাটের পরিতোষ মিষ্টান্ন ভান্ডার, কার্তিক কুন্ডুর মিষ্টি, নড়াইল পুরাতন ফেরিঘাটের দই, ক্ষীরচা, চমচম, গুড়ের সন্দেহসহ বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি কিনে নিয়ে নতুন-পুরাতন অতিথিদের অপ্যায়ন করে থাকেন।
পরিতাষ মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী পরিতোষ কুমার ও লোহাগড়ার সঞ্জয় কুমার জানান, গরুর খাঁটি দুধ জ্বালিয়ে তৈরি করা হয় ‘ছানা’। আর এর সঙ্গে চিনি, এলাচ, দারুচিনি মিলিয়ে তৈরি হয় এসব মিষ্টি। প্রতিকেজি রসগোল্লা ১শ’ ৫০ থেকে ১শ’ ৭০ টাকা, চমচম ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, দই ১১০ থেকে ১৩০ টাকা, ক্ষীর ও গুড়ের সন্দেস ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, রসমালাই ৩০০ টাকা, ক্ষীরচা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। এসব মিষ্টির দোকানগুলোতে অন্তত ৫০০ কারিগর রয়েছে।
সঞ্জয়’র ক্ষীরের সন্দেস কিনতে আসা লোহগড়ার আমাদা আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ আল ফয়সাল খান ও সৌদিপ্রবাসী ফারুক হোসেন জানান, এখানকার মিষ্টির তুলনাই হয় না। রসগোল্লা, দই, ক্ষীর ও গুড়ের সন্দেশ খেলে এক অন্যরকম তৃপ্তি পাওয়া যায়। শুধু দেশেই নয়, নড়াইলের মিষ্টির খ্যাতি বিদেশেও রয়েছে। কালিয়ার যাদবপুরের সিঙ্গাপুর প্রবাসী মানিক ভূঁইয়া বলেন, নড়াইলের মিষ্টি প্রবাসীসহ এখানকার (সিঙ্গাপুর) স্থানীয়দের মধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
জাপান প্রবাসী লক্ষ্ণীপাশার গুল মোহাম্মদ ঠাকুর ওরফে মনি ও লোহাগড়ার মোচড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জামাল হোসেন জানান, এসব দেশে নড়াইলের মিষ্টির ব্যাপক কদর রয়েছে।মোচড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জামাল ও কালিয়ার পুরুলিয়া গ্রামের লিবিয়া প্রবাসী তৌফিক জানান, বিদেশিদের জন্য এখানকার (নড়াইল) মিষ্টি সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিভিন্ন প্রকার সুস্বাদু মিষ্টি খেয়ে তৃপ্ত হন তারা (বিদেশিরা)। তাই, নড়াইলের মিষ্টির খ্যাতি দিন দিন বিদেশিও ছড়িয়ে পড়ছে।সব মিলিয়ে নড়াইলে মিষ্টি এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও যাচ্ছে।মিষ্টি ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বিদেশে মিষ্টি রফতানি করে এ জেলা থেকে বছরে প্রায় ৫ কোটি টাকা বৈদেশিক রেমিটেন্স আয় সম্ভব।
প্রতিবেদনঃ সুলতান মাহমুদ
সম্পাদনাঃ মোঃ হারুন-অর-রশিদ    

Source: http://jessore.info      

No comments:

Post a Comment