ক্ষীরকদম
উপকরণ : দুধ ১ লিটার, খোয়া ক্ষীর ৫০০ গ্রাম, চিনি ২ কাপ, গুঁড়ো চিনি আন্দাজ মতো, গুঁড়ো দুধ আন্দাজ মতো, লালা ফুড কালার সামান্য, ভিনিগার ২ টেবল-চামচ।
রসগোল্লা বানানোর প্রণালি : দুধ গরম করে ফুটে উঠলে তাতে এক থেকে দু’টেবল-চামচ ভিনিগার দিন দুধ কাটিয়ে ছানা তৈরি করে নিন। এ বার ওই ছানা একটা মসলিন অথবা সুতির কাপড়ে ঢেলে জলে ধুয়ে নিতে হবে যাতে ভিনিগারের গন্ধ আর টক ভাব না থাকে। এর পর পাতলা কাপড়ে বেঁধে টাঙ্গিয়ে রাখুন যাতে ছানা থেকে ভালো করে জল ঝরে যায়। এ বার আধা-চামচ ফুড কালার মিশিয়ে ছানা মসৃণ করে মাখতে হবে। মাখা ছানা দিয়ে এ বার ছোট ছোট বল বানিয়ে নিন। একটা ঢাকা দেয়া পাত্রে এক কাপ চিনি আর তিন কাপ জল দিয়ে পাতলা করে চিনির রস বানিয়ে নিন। ছানার বলগুলো ফুটন্ত রসে ছেড়ে মাঝারি তাপমাত্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট ঢাকা দিয়ে রান্না করলে রসগোল্লা তৈরি হয়ে যাবে।
ক্ষীরকদম বানানোর প্রণালি : রসগোল্লা তুলে নিয়ে ওই রসে এক কাপ চিনি দিয়ে ফুটিয়ে রসটা ঘন করে নিন। রসগোল্লাগুলোকে রসে পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে। আধা ঘণ্টা ঢাকনা দিয়ে রেখে দিন। রস থেকে তুলে একটা প্লেটে কিছু ক্ষণ রসগোল্লাগুলো রাখতে হবে যাতে বাড়তি রস ঝরে যায়। মেওয়া অথবা খোয়াতে ২ থেকে ৩ টেবল-চামচ গুঁড়ো চিনি মিশিয়ে মসৃণ করে মেখে নিতে হবে, যেন কোনো ডেলা না থাকে। এ বার প্রতিটা রসগোল্লা মেওয়া/খোয়া মাখিয়ে গোল করে নিতে হবে। এর পর গুঁড়ো দুধ মাখিয়ে এমনি বা ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।
রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ১ অক্টোবর ২০১৩
ছাঁচের সন্দেশ
[ ছয়জনের জন্য ]
উপকরণ : গুঁড়া দুধ দুই কাপ, ময়দা আধা কাপ, চালের গুঁড়া আধা কাপ, চিনি দেড় কাপ, পানি এক কাপ।
প্রণালি : পানি ও চিনি জ্বাল দিতে হবে। সিরা ঘন হয়ে এলে দুধ, ময়দা ও চালের গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে সিরার মধ্যে দিয়ে পাক দিতে হবে। এবার ছাঁচ দিয়ে ছাঁচের সন্দেশ বানাতে হবে।
রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ১২ এপ্রিল ২০১১
রসগোল্লা
উপকরণ : ছানা ৩ কাপ, ময়দা ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, সুজি ২ চা চামচ, চিনি ২ টেবিল চামচ, খাওয়ার সোডা ১ চিমটি, এলাচি গুঁড়া সামান্য।
সিরা তৈরি : ৫ কাপ চিনি ৫ কাপ পানি দিয়ে জ্বাল করে পাতলা সিরা তৈরি করে নিতে হবে।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. একটি ছড়ানো পাত্রে মুঠমুঠ করে ময়ান করা ছানা দিয়ে একে একে সব শুকনা উপকরণ ছড়িয়ে দিন।
২. হাতের তালু দিয়ে সব উপকরণ ভালোভাবে মেখে নিন।
৩. এবার হাতে তেল মেখে ছানার মিশ্রণকে গোল গোল মিষ্টি বানান।
৪. এবার পাতলা সিরায় মিষ্টি দিয়ে চুলার আচ বাড়িয়ে ঢেকে দিন।
৫. মিষ্টি যখন ফুলে দ্বিগুণ হয়ে যাবে, তখন চামচে করে গরম সিরার মধ্যে ঠাণ্ডা পানি মিলিয়ে দিন।
৬. মিষ্টি সেদ্ধ হলে নামিয়ে ৭-৮ ঘণ্টা সিরায় রেখে এরপর পরিবেশন করুন।
রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ৮ এপ্রিল ২০১৩
লালমোহন
উপকরণ : গুঁড়াদুধ আধা কাপ, ময়দা এক কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, বেকিং পাউডার ১ চা চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, ফেটানো ডিম ২টি, চিনি ৩ কাপ, পানি ৫ কাপ, তেল ভাজার জন্য।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. ময়দা, বেকিং পাউডার, গুঁড়াদুধ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে ১ টেবিল চামচ ঘি মিশিয়ে ভালো করে ময়দা ঝুরঝুরা করে নিন।
২. আলাদা পাত্রে ডিম ফেটিয়ে ময়দার মিশ্রণে পরিমাণমতো ডিম দিয়ে চামচের সাহায্যে মিশিয়ে দিন।
৩. এবার মিষ্টি রাখার পাত্রে এবং হাতেও ঘি মেখে নিন। পরিমাণমতো মিশ্রণ হাতে নিয়ে লালমোহনের আকারে বানান।
৪. চুলায় তেল প্রথমে গরম করে পরে ঠাণ্ডা করুন। তারপর ঐ তেলে মিষ্টি দিয়ে মৃদু আঁচ দিন।
৫. লালমোহনের রং লালচে হলে নামান।
৬.এবার চুলায় সিরা ফুটে উঠলে মিষ্টি দিয়ে ঢেকে দিন।
৭. ১৫ মিনিট পর ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে নামান।
৮.৩-৪ ঘণ্টা পর সিরা থেকে তুলে মাওয়া ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ৮ এপ্রিল ২০১৩
মালাইচপ
উপকরণ : স্পঞ্জ রসগোল্লা ১০টি, দুধ ১ লিটার, চিনি আধা কাপ, ঘি ১ টেবিল চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে এর মধ্যে চিনি দিন।
২. চিনি গলে গেলে একবার বলক তুলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন।
৩. আবার দুধ চুলায় দিয়ে সামান্য গরম হলে, গরম সিরা থেকে স্পঞ্জ রসগোল্লা তুলে চুলায় বসানো দুধে দিন।
৪. ঢাকনা খুলে জ্বাল দিন। দুধ ঘন হলে ১ টেবিল চামচ ঘি দিন।
৫. ৩ ঘণ্টা ফ্রিজের নরমাল তাপমাত্রায় রেখে তারপর পরিবেশন করুন।
রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ৮ এপ্রিল ২০১৩
স্পঞ্জ রসগোল্লা
উপকরণ : ছানা ১ কাপ, চিনি ৩ কাপ, পানি ৫ কাপ, দুধ ১ টেবিল চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. চুলায় কড়াই দিয়ে পানি ও চিনি জ্বাল দিয়ে পাতলা সিরা করুন।
২. ছানা ময়ান করে গোল গোল মিষ্টি বানিয়ে বলকানো সিরায় দিয়ে আঁচ বাড়িয়ে ঢেকে ১৫ মিনিট জ্বাল দিন।
৩. ১৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে ২-৩ মিনিট জ্বাল দিয়ে আধা কাপ ঠাণ্ডা পানি গরম সিরার মধ্যে ঢেলে দিন।
৫. মাঝেমাঝে নেড়ে দিন। মিষ্টি সেদ্ধ হয়ে যখন ডুবে থাকবে তখন নামিয়ে আন্দাজ
মতো ঠাণ্ডা পানি আবার দিয়ে নেড়ে ৭-৮ ঘণ্টা এভাবে রেখে দিন। এরপর পরিবেশন
করুন।
রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ৮ এপ্রিল ২০১৩
মুগডালের লাড্ডু
উপকরণ : মুগডাল ৫০০ গ্রাম, ঘি ১ কাপ, অ্যারাবিয়ান গাম ৫০ গ্রাম (মসলার দোকানে পাওয়া যাবে), সাদা তিল ২ টেবিল-চামচ, আইসিং সুগার ১ কাপ, কিশমিশ, পেস্তা ও কাঠবাদাম সব মিলিয়ে আধা কাপ।
প্রণালি : মুগডাল চুলার পাশে রেখে অথবা হালকা ভেজে নিয়ে পাটায় গুঁড়া করে চেলে নিতে হবে। এই ডাল আবার হাঁড়িতে বাদামি করে ভেজে ঠান্ডা করতে হবে। অ্যারাবিয়ান গাম ছোট ছোট টুকরা করে ভেঙে নিতে হবে। ২ টেবিল-চামচ ঘি গরম করে তাতে ১ টেবিল-চামচ অ্যারাবিয়ান গাম ছেড়ে ভাজতে হবে। এতে দেখা যাবে, গামগুলো পাঁপড়ের মতো ফুলে মচমচা হয়ে যাবে। এভাবে একটু একটু করে দিয়ে সব গাম ভেজে ঠান্ডা করতে হবে এবং আধা ভাঙা করে রাখতে হবে। কড়াইয়ে ২ টেবিল-চামচ ঘি দিয়ে কিশমিশ, পেস্তা, কাঠবাদাম ও তিল পর্যায়ক্রমে দিয়ে ভেজে তুলতে হবে। এবার ভাজা ডাল, অ্যারাবিয়ান গাম, বাদাম ও আইসিং সুগার একসঙ্গে একটি ছড়ানো পাত্রে মেশাতে হবে। একটু ঘি গরম করে তাওয়ার ওপর রাখতে হবে। সবশেষে এই ডাল ও বাদামের মিশ্রণ অল্প অল্প করে পরিমাণমতো গরম ঘি দিয়ে এমনভাবে মাখাতে হবে যেন ওই মিশ্রণ হাতে গোল করা যায়। তারপর লাড্ডু বানাতে হবে।
গুড়ের পানতোয়া
উপকরণ : ছানা ২ কাপ, ময়দা আধা কাপ, মাওয়া দেড় কাপ, গুড় ১ টেবিল চামচ, এলাচ গুঁড়া সামান্য, ঘি সোয়া ৩ টেবিল চামচ, খাবার সোডা আদা চা চামচ, তেল ভাজার জন্য।
প্রণালী : ছানা গ্রেট
করে নিন। অন্য পাত্রে ঘি, ময়দা, সোডা, গুড়, এলাচ গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।
এবার ছানার সঙ্গে মেখে গোল্লা বানিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিন। ভাজা হলে নামিয়ে
সঙ্গে সঙ্গে সিরায় ডুবিয়ে দিন। এভাবে কয়েক ঘণ্টা রাখুন।
সিরা : পানি ৪ কাপ, গুড় ২ কাপ। একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে সিরা করে নিন।
রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ১৬ অক্টোবর ২০১২
সন্দেশ বাহারি
উপকরণ : ছানা ২ কাপ, আইসিং সুগার ৪ কাপ, নলেন গুড় ৪ টেবিল চামচ, পেস্তাকুচি আধা চা চামচ, চেরি কুচি ১টি।
প্রণালী : ২ লিটার দুধ এক বলক এনে ১ কাপ পানি ও সিরকা একসঙ্গে মিশিয়ে দুধে ঢেলে ছানা বানিয়ে নিন। ছানার পানি ঝরিয়ে নিন। এবার কাঁচা ছানা ভালো করে মিশিয়ে তার সঙ্গে চিনি গোল বানিয়ে মাঝখানে গর্ত করে কয়েক ফোঁটা নলেন গুড় দিয়ে মুখ বন্ধ করে কোনা ডাইসের মধ্যে ভরে চাপ দিয়ে বের করে নিন। এরপর ওপরে বাদাম ও চেরি কুচি দিয়ে ডেকোরেশন করুন।
রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ১৬ অক্টোবর ২০১২
This comment has been removed by a blog administrator.
ReplyDelete